নারায়ণগঞ্জের আলেম সমাজ আবারো জেগে উঠেছে। গুটি কয়েকজন কথিত আলেমদের জন্য বিতর্কিত হেফাজত ও জমিয়তের বাইরে গিয়ে আলেম ওলামারা এবার সমাবেশ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। শহরের ডিআইটি কেন্দ্রীয় রেলওয়ে জামে মসজিদের সামনে ২৫ অক্টোবর জুমআর নামাজের পর সমাবেশ হয়। এতে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদের মুসল্লিরাও উপস্থিত ছিলেন।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমীর ও ডিআইটি মসজিদের খতীব আল্লামা আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন আমলাপাড়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল কাদির, আলীরটেক মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ আতাউল হক সরকার, দেওভোগ মাদ্রাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল মুফতী আব্দুর রহমান, বেফাক নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি মুফতী মুফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আমীর আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ, খেলাফত মজলিসের মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ প্রমুখ।
এর আগে, পর পর দুটি কর্মসূচি স্থগিত করতে হয়েছে নারায়ণগঞ্জ হেফাজতে ইসলামের। মুরুব্বি শ্রেণির আলেমদের বাদ দিয়ে পলাতক শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজনদের দিয়ে কমিটি গঠনের পর জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের মিছিলে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। এদিন জুমআর নামাজের পর শহরের ডিআইটি কেন্দ্রীয় রেলওয়ে জামে মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। প্রায় মিনিট দশেক ধরে হেফাজতের নেতাকর্মীদের মধ্যে হইচই ও হাতাহাতি চলে। পরে সিনিয়র নেতারা বার বার অনুরোধ করলে থামে। তবে পণ্ড হয়ে যায় পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল। পরবর্তীতে অপর একটি গ্রুপ মিছিল করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আর এসকল বিষয় সমাধান না করেই এবার নতুন করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যার কারণে নতুন কমিটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই হেফাজতের একটি অংশের মধ্যে চরম ক্ষোভ চলছে। হেফাজতের নেতাকর্মীদের দাবি ছিল নতুন কমিটিতে আওয়ামী লীগের দোসরদের জায়গা দেয়া হবে না। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে যারা ওসমান পরিবারের দোসর হিসেবে পরিচিত তাদেরকে জায়গা দেয়া হয়েছে। যা হেফাজতের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না।
কমিটি না মানার কারণ প্রসঙ্গে তারা বলেন, কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে সকল মুরুব্বিদের পরামর্শকে প্রত্যাখান করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দোসরদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। একই সাথে চক্রান্ত করে আব্দুল আউয়ালকে বাদ করা হয়েছে। উনাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে সকল আলেম ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকে। আব্দুল আউয়ালকে ছাড়া কোনো কিছু হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :