News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১

বিএনপির ভাইয়েরা প্রতিবাদ করেন : সাগর


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫, ১০:১৬ পিএম বিএনপির ভাইয়েরা প্রতিবাদ করেন : সাগর

কুমিল্লার যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রাকিবুর রহমান সাগর। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে এই বিচারবহির্ভূত হত্যার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা এবং তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

১ ফেব্রুয়ারী এক প্রতিবাদ লিপিতে জানান , বিএনপির ভাইরা, সবাই প্রতিবাদ জানান। যুবদল নেতা তৌহিদুল হত্যার বিচার চাই করতে হবে। আওয়ামী প্রেতাত্মা ও দোসরা এখনও সুযোগের অপেক্ষায়। তৌহিদুল ইসলাম ছিলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্টে চাকরি করতেন। গত রোববার তাঁর বাবা মোখলেছুর রহমানের মৃত্যুর খবরে তিনি তার বাড়ি আসেন। শুক্রবার তাঁর বাবার কুলখানি হওয়ার কথা ছিল। সংসারে তাঁর স্ত্রী ও চার কন্যাসন্তান রয়েছে। অথচ গত বৃহস্পতিবার রাতে আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে আসেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের পোশাক পরা কাউকে দেখেননি, তবে সাদা পোশাকে পাঁচজন যুবক ছিলেন। বাড়িতে প্রবেশ করেই তাঁরা তৌহিদুলকে আটক করেন। এরপর সবার কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেন। ঘরে ব্যাপক তল্লাশি করেন। তবে কিছু পাননি। তৌহিদুলকে আটকের কারণ জিজ্ঞস করলেও তাঁরা কোনো উত্তর দেননি। একপর্যায়ে তাঁকে গাড়িতে করে নিয়ে যান। তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা তো দূরের কথা, থানায় একটি জিডিও নেই।

গত শুক্রবার সকালে আবারও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে এসে ব্যাপক তল্লাশি করেন উল্লেখ করে এলাকার কয়েকজন বলেন, তখনো কিছু পাননি। সকালেও তৌহিদুল তাঁদের গাড়িতে ছিলেন। কিন্তু তাঁকে গাড়ি থেকে নামানো হয়নি। দূর থেকে তাঁকে নিস্তেজ মনে হচ্ছিল। পুলিশ জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে থানার ডিউটি অফিসার জানান যৌথ বাহিনী আদর্শ সদর উপজেলার ঝাঁকুনিপাড়া এলাকায় গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ সড়কে দ্রুত যাওয়ার জন্য বলেছে। পরে ওসিকে বলে তিনি গাড়ি নিয়ে যান। তখন যৌথ বাহিনী তৌহিদুলকে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু তৌহিদুলের অবস্থা খারাপ দেখে তাদেরও সঙ্গে যেতে বললে তারা রাজি হয়নি। পরে তিনি তৌহিদুলকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত এমনভাবে পিটিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে যে কালো ফোলা জখমের চিহ্ন রয়েছে। পেট, বুক, পিঠ, পা, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে শুধুই নির্যাতনের চিহ্ন। স্থানীয় যুবদলের নেতারা দাবি করেন, তৌহিদুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীকে এই নির্মম হত্যাকান্ডের জবাব দিতে হবে। তৌহিদুলের চারজন শিশু কন্যার পিতা কেড়ে নেয়ার হিসাব দিতে হবে।

Islam's Group