পাঁচটি আসনে জামায়াতের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সারাদেশেই মাঠ গোছাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। পিছিয়ে নেই নারায়ণগঞ্জেও। ২০০০ সালের পর থেকে নারায়ণগঞ্জে জামায়াতের কোন প্রার্থী নির্বাচন করেননি। ইতিপূর্বে জয়লাভ করারও রেকর্ড নেই। তবুও এবার অপেক্ষাকৃত পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের গোছাচ্ছে দলটি। ইতোমধ্যে পাঁচটি আসনে নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রাথমিক ভাবে ঠিক করে রেখেছেন নেতৃবৃন্দরা।

সূত্র জানায়, ‘মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী ফিল্ড যাচাই করে জামায়াত নেতারা প্রাথমিক ভাবে একটি খসড়া তালিকা প্রনয়ন করেছেন। সেখানে সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবস্থান, সম্ভাবনা, জনপ্রিয়তা ইত্যাদি যাচাই বাছাই করা হয়েছে। প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা ও বয়স বিবেচনা করে প্রস্তাবনা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সব ঠিক থাকলে সম্ভাব্য এসব প্রার্থীরা লড়তে পারেন নির্বাচনে। মূলত জামায়াতে একই আসনে একাধিক প্রার্থীতা করার মত মানসিকতা দলটির নেই। বরং তাদের নেতারা মিলে যাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন, তিনিই নির্বাচন করবেন আগামীতে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা অংশ নিবে কি না, সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। পরিস্থিতি এমন হলে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনি জোট গঠনের কথা এখনই ভাবছে না জামায়াতে ইসলামী। তবে নতুন করে ইসলামী দলগুলোর সমন্বয়ে একটি বাক্স এমন কথা ছড়িয়ে পড়েছে রাজনীতির মাঠে। সেই বিবেচনায় ইসলামী জোট করলে বড় শক্তি হিসেবেই আবির্ভুত হবেন তারা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জামায়াতের নেতাদের মাধ্যমে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাঁচটি আসনে নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি আসনে এখন থেকেই তারা নির্বাচন করার সংকল্প করেছেন। বাকি চারটি আসনে কেন্দ্র থেকে বার্তা আসলে কোমড় বেধে নামবেন প্রার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে সোনারগাঁয়ে একজন জামায়াত নেতাকে মাঠে বেশ সরব থাকতে দেখা গেছে। গত সংসদ নির্বাচনের আগেও তিনি বেশ সরব ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তার সরব উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সোনারগাঁয়ের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক নানান অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘আমরা মনে করি নূন্যতম সংস্কারের পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন। আমাদের কেন্দ্রীয় আমীরও একই কথা বলেছেন। এক্ষেত্রে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের কোন পার্থক্য নেই। দল থেকে ৩০০ আসনেই নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেও আমাদের প্রস্তুতি চলছে।

পাঁচটি আসনে কারা হচ্ছেন প্রার্থী এমন প্রশ্নে বলেন, আমরা নাম তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। কেন্দ্র থেকে যাচাই বাছাই করে আমাদের জানানো হবে। এরপরেই তাদের নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে। আপাতত কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া আগেই প্রার্থীদের নাম বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের নামের তালিকা বা প্রার্থী তালিকা প্রস্তত।