নারায়ণগঞ্জ ৪ আসন থেকে প্রথম নির্বাচন করার মৌখিক ঘোষণা এসেছিলো ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর কাছ থেকে। ৫ আগস্টের পরে দল গোছানোর রাজনীতির সাথে সাথে নির্বাচনী বোঝাপড়াও শুরু করেছেন অনেকে। তবে সম্ভাব্য অধিকাংশ প্রার্থীরা নীরবে আছেন এখনও। অতীতে যারা নির্বাচন করেছেন তারা ফের নির্বাচন করবেন এমন সম্ভাবনা কর্মীরা মনে মনে ধারণ করে রাখলেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন অনেকেই। আর সেই প্রতিক্ষার পালা যেন শেষ হতে চলেছে।
রিয়াদ চৌধুরীর পর এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনের কথা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন। সম্প্রতি এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘আমরা রাজনীতি করি জনগনের জন্য, দেশের জন্য। দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করবো। এই প্রতিশ্রুতি আপনাদের সামনে দিচ্ছি। আগামী নির্বাচনের জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমার নেতাকর্মীদেরও আহবান জানাচ্ছি প্রস্তুতি গ্রহন করার জন্য। ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। বিএনপিকে ভোট দিয়ে আবারও দেশের সেবা করার সুযোগ দিবেন সেই প্রত্যাশাই থাকবে।’
তার এই কথার মধ্য দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যায় যে তিনি নির্বাচনে নামতে যাচ্ছেন। আর তা বিএনপির প্রার্থী হয়েই। ইতিপূর্বে বিএনপির প্রতীক নিয়ে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির হয়ে মাঠে নামতে হলে তাকে দলীয় প্রতীক পেতে হবে। তবে স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক না থাকায় কার্যত একাধিক প্রার্থী দাঁড়াবার সুযোগ তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে এসব প্রার্থীদের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বলা যায়। কিন্তু বিএনপির হয়ে মাঠে নামা মূলত সংসদ নির্বাচনকেই ইঙ্গিত করে।
বিগত সময়ে ৪ আসন থেকে জয় পাওয়া সাবেক এই এমপি এই আসনেই যে প্রার্থীতা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। তবে এবার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর চাইতে নিজ দলের প্রতিপক্ষদের মাঝে লড়াই করে জয় পেতে হবে তাকে। একই আসনে মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছে রিয়াদ চৌধুরী। এর বাইরেও আলোচনায় আছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, ব্যবসায়ী শাহ আলম। জোটভুক্ত নির্বাচন হলে পুরোনো প্রার্থী মনির কাশেমীও হতে পারেন তার জন্য মাথাব্যাথার কারণ।
তবে অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতাই যাই থাকুক না কেন। একদিক থেকে গিয়াস এগিয়ে থাকবেন ঠিকই। আর সেটি হচ্ছে বিগত সময়ে জয়লাভ করার ইতিহাস। তার পরে এই আসনে আর কেউ জয়লাভ করতে পারেননি। শাহ আলম, মনির কাশেমীর হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেয়া হলেও জয়লাভ করতে পারেননি তারা। সেই কারণে গিয়াস উদ্দিন দলের কাছে এগিয়ে থাকবেন। অন্যদিকে সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে জেলা বিএনপির কমিটি বাতিল হওয়া গিয়াস উদ্দিনের জন্য ডিমোরিট পয়েন্টের মতই। নেতিবাচক বার্তা ও সংবাদের শিরোনাম হবার কারনে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন তিনি। এসব বিষয় সামাল দিয়ে দলের কাছে গ্রহণযোগ্য ভাবে পৌছাতে পারলে ফের বাজিমাত করার সুযোগ রয়েছে তার।
আপনার মতামত লিখুন :