রাজপথের আন্দোলনের পুরোধা খ্যাত মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ আবারো আলোচনায় এসেছেন একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। আপন বড় ভাই বিএনপি ছেড়ে গেলেও দলকে আকড়ে ধরে রাখা ৭১ মামলার আসামী খোরশেদ এবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ‘আল্লাহর ওলি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দেওয়া সেই বক্তব্য এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত ভাইরাল হয়ে উঠেছে।
গলাচিপায় কম্বল বিতরণ কর্মসূচীতে খোরশেদ বলেন, ‘যে যাই মনে করুক আমি বলবো জিয়াউর রহমান ছিলেন আল্লাহর একজন ওলি। কারণ হাসিনা বিএনপির বিরুদ্ধে এমন কিছু বাদ রাখেনি বলতে। কিন্তু জিয়াউর রহমান সম্পর্কে হাসিনা কিছুই বলতে পারেনি। জিয়াউর রহমানের সম্পদ, টাকা, জমি নিয়ে কোন তথ্য হাসিনা দিতে পারেনি।’
কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেনের মধ্যে পর পর ৪ বার টানা সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত বিএনপি দলীয় জনপ্রতিনিধি। তার সাথে সর্বশেষ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করা আওয়ামীলীগসহ সকল প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিএনপির হরতাল অবরোধের নাশকতার মামলা থাকায় তার কাউন্সিলরশীপ বাতিল করা হলে ২০১৫ সালে উচ্চ আদালতে রিট করে কাউন্সিলরশীপ ফিরে পান তিনি।
২০০৮৯ সাল থেকে দলের সকল হরতাল অবরোধের কর্মস‚চীতে নগরীর ম‚ল সড়কে মিছিল করেছেন খোরশেদ। এসময় সকল কর্মস‚চীতে পুলিশ বাধা দিলে ও লাঠিচার্জ করলেও পিছপা হননি তিনি। এর মধ্যে গুলিও হয়েছে কয়েকটি মিছিলে। এসব কর্মস‚চীতে খোরশেদের পাশে থেকে মহানগর যুবদল নেতা রানা মুজিব, জুলহাসসহ শতাধিক নেতাকর্মী বিভিন্ন থানার রাজনৈতিক মামলার শিকার হন। এসব মামলায় এখনো খোরশেদসহ সকলে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরণের পর সারাদেশের মধ্যে প্রথম রায়ের সাথে সাথে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা যুবদল খোরশেদের নির্দেশে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এর মধ্যে বার বার আওয়ামীলীগ থেকে দলে যোগ দিতে ও নানা পদের প্রলোভন দেয়া হলেও সেটি অগ্রাহ্য করে দেন খোরশেদ। তিনি আমৃত্যু পদ পদবি না থাকলেও বিএনপি ও জিয়া পরিবারের সাথে থাকবেন বলে জানিয়ে দেন।
তার ওয়ার্ডের জামতলায় আওয়ামীলীগের সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের বাড়ি। তবুও নেতাকর্মীদের নিয়ে সব সময় চাঙ্গা ও সরব থাকেন খোরশেদ। নিজ বাড়ির সামনে জিয়াউর রহমানের জন্ম বার্ষিকী, মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশাল দোয়া মিলাদ ও কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করেন তিনি। এ ছাড়াও জনসম্পৃক্ত কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হিসেবে তিনি পরিচিতি ওয়ার্ডে।
এর মধ্যে বাংলাদেশে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মানুষের পাশে থেকে কাজ করে শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বেও বিএনপির নাম উজ্জ্বল করেন খোরশেদ। বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ ও জনগনের জন্য কাজ করা জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার কাজের প্রশংসা করেন সকল দলের মানুষ।
তার বিরুদ্ধে শিডিউল ও নন শিডিউল মিলিয়ে প্রায় ৭১ টি মামলা সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর ও ফতুল্লা থানায় রয়েছে। এসব মামলা বহুবার কারাগারে গিয়েছেন তিনি। সকল মামলায় বর্তমানে জামিনে রয়েছেন খোরশেদ।
আপনার মতামত লিখুন :