News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

৫ মাসেও অধরা অস্ত্রধারী রাসেল


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম ৫ মাসেও অধরা অস্ত্রধারী রাসেল

নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে প্রকাশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি করলেও এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে অস্ত্রধারী সেই রাসেল। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করা বন্ধন পরিবহনের দখল নিয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা নগরীর দেওভোগ এলাকার জাকির খান ও র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত সাবেক যুবদল নেতা মমিনউল্লাহ ডেভিডের ভাগিনা চাষাঢ়া এলাকার সাখাওয়াত ইসলাম রানার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন বাস টার্মিনাল সংলগ্ন রিভারভিউ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে পিস্তল উচিয়ে একের পর এক গুলি করতে দেখা যায় রাসেলকে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পাশে হওয়ায় ঘটনাস্থলে পুলিশের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তখন কেউ অস্ত্রধারী রাসেলকে প্রতিরোধ করতে পারেনি। তবে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ৫ মাসের বেশি সময় চলে গেলেও এখনো রাসেলকে ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকেই বন্ধন পরিবহনের দখল নিয়ে জাকির খান ও রানা গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা চলছিল। দুপুরের দিকে বন্ধন কাউন্টারের কর্মচারীদের উপর হামলা হয়। পরে ডেভিডের ভাগিনা রানা ভুক্তভোগীদের নিয়ে থানায় যায় এবং সেনাবাহিনীর সাহায্য চান। বিকেলে দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানায় এসে টহল ও তাদের অভিযোগ সম্পর্কে অবগত হয়ে চলে যান। এরপর রানা তার অনুসারীদের নিয়ে বন্ধন বাস কাউন্টারে অবস্থান নেন। ওই সময় রানার অনুসাদের সবার হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। একপর্যায়ে বিকেল ৫টায় জাকির খানের অনুসারীরা লঞ্চ টার্মিনালের সামনে থেকে ধাওয়া দিলে আবারো সদর থানার দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায় রানাসহ তার অনুসারীরা।

ওই সময় রাসেল জাকির খানের অনুসারীদের সাথে সেখানে হাজির হন এবং রিভারভিউ শপিং কমপ্লেক্স সংলগ্ন বন্ধন বাস কাউন্টারের সামনে এসে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন। এরপর রানা ও তার লোকজন সদর মডেল থানার সামনে থেকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে রাসেল গুলি করতে করতে থানার গেট পর্যন্ত গিয়ে তাদের ধাওয়া দেন। সংঘর্ষ চলাকালে রাসেলের সাথে আরো বেশ কয়েকটের হাতেও রিভালভার ছিলো। তবে তারা কেউ গুলি করেনি।

জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার খরব মুহূর্তেই সারাদেশে ছড়িয়ে পরে। এতে স্থানীয় প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেন। তবে রাসেলসহ যারা এই সংঘর্ষের সাথে জড়িত ছিলো তাদের কাউকে এখনো ধরতে পারেনি প্রশাসন। হতাশা প্রকাশ করে নগরবাসী বলছে, ভয়ঙ্কর এই অপরাধীকে শাস্তি না দিলে সামনে আবারো অন্য কেউ একই অপরাধ করে বসবে। আর এমন চর্চা শুরু হলে তখন প্রশাসনকেই চাপ নিতে হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ বলেন, অপরাধী যে দলেরই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এই ঘটনার অনেক দিন পার হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে ওসির সাথেও কথা বলবো। এই অপরাধের জন্য তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

Islam's Group