News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ সম্পাদক প্রার্থী এখন বিএনপি নেতা


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম আওয়ামী লীগ সম্পাদক প্রার্থী এখন বিএনপি নেতা

আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া ৪টি মামলার আসামি। বিগত সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে প্রার্থী হয়েছিলেন। সেই সাথে তিনি ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীও ছিলেন। সেই ফারুক এখন বিএনপি নেতা বনে গেছেন। তাকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে বিএনপির মিছিলে। তার বাড়িতে বন্দর থানা ও উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য নেতার ভুড়িভোজ নিয়েও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে ওই ভুড়িভোজে অংশ নিয়েছিলেন।

বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ অভিযোগ তুলেছেন ওই ভুড়িভোজে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের খানেরও উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এনিয়ে বির্তক সৃষ্টি হওয়ায় সেখানে উপস্থিত হননি তিনি।

জানাগেছে, ফারুক হোসেন ধুঁয়ে মুছে বিএনপি নেতা বানানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি বন্দরে শাহীন আহম্মেদ এর নেতৃত্বে মিছিলের সামনের সারিতে দেখা গেছে ফারুক হোসেনকে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে বর্তমানে ফারুক হোসেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় মামলার আসামি ফারুক হোসেন ৪টি মামলা থেকেই জামিন পেয়েছেন। আর সেই জামিন করিয়েছেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। শাহিন আহম্মেদের মাধ্যমেই সাখাওয়াত হোসেন খান মামলাগুলো নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে না করা শর্তে একাধিক বিএনপি নেতা, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ফারুক আওয়ামী লীগের পদের  জন্য দৌড়ঝাঁপ করেছেন। তাদের সভা সমাবেশে বড় বড় মিছিল নিয়ে গিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের ছবি দিয়ে ব্যানার ফেস্টুন ছাপিয়ে খুঁটিতে খুঁটিতে সাঁটিয়েছেন এখন আওয়ামী লীগের সেই দোসর যদি বিএনপির জার্সি পড়ে রাজপথ চষে বেড়ায় তাহলে এমন বিএনপি না করাই ভাল। এদের কারণে এখন আর রাজনীতি করতে মন চায়না। এতে করে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের জার্সি বদল করে বিএনপিতে প্রতিষ্ঠিত করার মধ্যদিয়ে মূলত তাদের পুর্নবাসন করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে শাহিন আহম্মেদ এর বক্তব্য জানতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এর আগে সময়ের নারায়ণগঞ্জের কাছে বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ লিটন অভিযোগ করে বলেন, একবছর আগে সম্মেলনের মাধ্যমে আমি সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। তখন মহানগরের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এর অত্যন্ত কাছের লোক। শাহিন আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। নির্বাচনে হারার পর থেকেই আমার পেছনে লেগে আছে। তাকে সহযোগিতা করেন আমাদের মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। আমাদের ইউনিয়ন সহ আশে পাশের ইউনিয়ন থেকে এই শাহিনের মাধ্যমে বিভিন্ন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির লোকজন তার কাছে নিয়ে যায় সে জামিন করিয়ে দেয়। ওরা আওয়ামী লীগের এজেন্ট। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ওরা সব কিছু করছে। ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এরা সব সময় আওয়ামী লীগের লোক ছিল যার অনেক প্রমান রয়েছে আমাদের কাছে। এরাই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। আমাদের মহানগর বিএনপির সভাপতি সেক্রেটারি আমাদের ডেকে এসব জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারতেন কিন্তু তারা সেটা করনেনি।  এটা না করে ক্যাশিয়ার শাহিনের কথা শুনে সব করছে। আওয়ামী লীগের যেসকল নেতাকর্মীদের দ্বারা বিএনপির কর্মীরা নির্যাতিত হয়েছে তাদেরকে যদি এখন সাখাওয়াত হোসেন সাহেব জামিন করান তাহলে উনারা দ্বারা বিএনপি এবং দলের নেতাকর্মীরা কতটুকু লাভবান হবেন। দলের কি লাভ হবে।

Islam's Group