News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে যাঁদের হাতে থাকবে নেতৃত্ব


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৫, ১১:০০ পিএম নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে যাঁদের হাতে থাকবে নেতৃত্ব

নারায়ণগঞ্জে আসছে জেলা বিএনপির নতুন কমিটি। কারা আসছেন এ কমিটিতে এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। গত ২৪ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির কমিটির ভাঙার পর অনেকের নাম আসলেও আসছে কমিটিতে সিনিয়র নেতাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এ তালিকাতে সবশেষ ৫ জনের নাম উঠে এসেছে। দলের সূত্র নিশ্চিত করেছে এ ৫ জন হতেই আসছে জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক কিংবা সভাপতি।

৫ জনের তালিকাতে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে কাজী মনিরুজ্জামান, নজরুল ইসলাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, আজহারুল ইসলাম মান্নান ও মোহাম্মদ শাহআলমের নাম।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, ৫ আগস্টের পর বর্তমান পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতেই সিনিয়র নেতাদের হাতে নেতৃত্ব দিতে চান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এখন পুরো সিদ্ধান্ত তার উপর নির্ভর করছে।

যে ৫ জনের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে কাজী মনিরুজ্জামান এর আগে জেলা বিএনপির সেক্রেটারী, সভাপতি ও আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর শহরের আলী আহমেদ চুনকা পৌর মিলনায়তনে জেলা বিএনপি’র সম্মেলনে তৈম‚র আলম খন্দকারকে সভাপতি ও কাজী মনিরুজ্জামানকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কিন্তু ৭ বছরেও তারা প‚র্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটির পরেই নিস্ক্রিয় হন কাজী মনিরুজ্জামান।

সভাপতি হিসেবে আলোচনায় আছেন দলের ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। জুলাই ও আগস্টে ছাত্র আন্দোলন ছাড়া গত এক দশকে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনের আলোচিত একটি ছিল আড়াইহাজারের ঘটনা। ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর অবরোধ চলাকালে সেখানকার বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ছিল তখনকার সবচেয়ে আলোচিত যার নেতৃত্বে ছিলেন নজরুল ইসলাম আজাদ। ওই সময়ে তাকে ধরতে প্রশাসনে রেড এলার্ট জারি করা হয়। বিগত দিনে বিএনপির আন্দোলনের অনেক ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দেন। কারাভোগও করেছেন কয়েকবার। অন্তত অর্ধশত মামলার আসামী হয়েছেন।

আলোচনায় আছেন মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু। ৫ আগস্টের আগে নারায়ণগঞ্জ শহরে একাধিকবার তিনি নেতাকর্মী নিয়ে অবস্থান করেন। দিপুর নির্দেশে আন্দোলনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা সিলেট মহাসড়ক, সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোডে তার নেতাকর্মীদের সরব অবস্থান থাকে। শহরের চাষাঢ়ায় ছাত্র জনতার আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সব সময় ছাত্রদের পাশে অবস্থান করান দিপু। টানা ১৫ বছর ধরে সরকার বিরোধী আন্দোলন করে রূপগঞ্জ তো বটেই নারায়ণগঞ্জকে জাগিয়ে রেখেছিলেন তিনি। রাজধানীতেও বিএনপির বিভিন্ন কেন্দ্রীয় কর্মসূচীতে লোকজন নিয়ে শো ডাউন করে আলোচনায় ছিলেন। আন্দোলনগুলোতে ছিলেন সামনের সারিতে। তখনকার মন্ত্রী ও এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর লোকজন একাধিকবার হামলা করেন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে। রয়েছে ৫০টির অধিক মামলা।

বিএনপির দুঃসময়ে বিএনপি থেকে সরে গেলেও এবার হঠাৎ আলোচনায় এক সময়ে কল্যাণ পার্টি করা শাহআলম। তিনিও আছেন জেলা বিএনপির সভাপতির তালিকাতে। গত কয়েকদিন ধরে তিনি ব্যাপক লবিং করে যাচ্ছেন। সবশেষ তাঁর একটি অনুষ্ঠানে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় থাকলেও ক্লিন ইমেজের কারণে তিনি এখন আলোচনায় আছেন।

আলোচনা হচ্ছে সোনারগাঁয়ের আজহারুল ইসলাম মান্নানকে নিয়েও। তিনিও আছেন জেলা বিএনপির সুপার ফাইভের কমিটিতে।

২০২২ সালের ১০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে আহবায়ক ও জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি'র আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০২৩ সালের ১৭ জুন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে নানা নাটকীয়তা শেষে সভাপতি পদে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম ফারুক খোকন ঘোষিত হন। এরপর থেকেই মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও গোলাম ফারুক খোকনের নেতৃত্বেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি পরিচালিত হয়ে আসছিল।

Islam's Group