ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলা থেকে নভেম্বের ২৬ তারিখে জামিন হচ্ছে জাকির খানের - কিছুদিন আগে গোটা শহরে ছড়িয়ে যায় এমন তথ্য। এর আগে উচ্চ আদালত দ্রুত এই মামলাটি নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন। তাই আশায় বুক বেধেছিলো শহর ও শহরের বাহিরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জাকির খানের অনুসারী ও সমর্থকরা। তবে তাদের সেই আশা পূর্ণ হয়নি। কারণ আদালত জানিয়েছেন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারী সাব্বির হত্যা মামলার রায় হবে। এতে স্পষ্ট যে এর আগে জাকির খানের জামিন হওয়ার তেমন সুযোগ নেই। এমন খবরে চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছেন জাকির খানের অনুসারীরা। কারণ তারা ৫ আগষ্ট সরকার পতনের আগে থেকেই চেষ্টা করছিলেন যত দ্রুত সম্ভব সাব্বির হত্যা মামলা থেকে কারাবন্দী এই সাবেক এই ছাত্রদল নেতাকে জামিন করাতে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতেও এই মামলায় সাবেক এই ছাত্রদল নেতার সহজে জামিন না হওয়ায় চিন্তিত অনুসারীরা।
তথ্য বলছে, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী শহরের মাসদাইর এলাকায় খুন হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। সেই হত্যা মামলার আসামী করা হয় জাকির খানকে। তাই ওই সময়ই দেশত্যাগ করে থাইল্যান্ডে চলে যান তিনি। এরপর দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন জাকির খান। তবে গত বছর হঠাৎ রাজধানীর উত্তরা থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। বর্তমানে সাব্বির হত্যা মামলায় জেলে আছেন তিনি। সাব্বির হত্যা মামলা ছাড়াও আরো একাধিক মামলা আসামী ছিলেন জাকির খান। কিন্তু সেসব মামলা থেকে আগেই জামিন পেয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে জাকির খান কারাগারে কম থাকেন। অসুস্থ্যতার জন্য থাকতে হয় হাসপাতালে। সেখানে প্রতিদিন অসংখ্য লোকজন তার সাথে দেখা করতে ভীড় করছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই অধিপত্য বিস্তার করে অর্থ আয়ের প্রস্তাব দিতে সেখানে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু জাকির খান এই মুহূর্তে সবাইকে এসব বিষয়ে নিরব থাকতে বলছেন। নিজের মুক্তি না হওয়া অবধি ধৈর্য্য ধারন করতে অনুরোধ করছেন সবাইকে। এদিকে তাকে ছাড়া তার লোকজনও সঠিক ভাবে শহরের রাজনীতি বা অন্যান্য জায়গায় নিজেদের মেলে ধরতে সক্ষম হচ্ছেনা। তাই ২৬ নভেম্বর জাকির খানের জামিন হবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও শেষ পর্যন্ত জামিন না হওয়া হতাশ সবাই।
আপনার মতামত লিখুন :