ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদারকে টোকাই আখ্যায়িত করেছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়া।
৩০ নভেম্বর শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্ট সংলগ্ন এলাকায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।
সময়েল নারায়ণগঞ্জে প্রকাশিত সংবাদের রেফারেন্স টেনে আব্দুল বারী ভূইয়া বলেন, আজকে একটি পত্রিকা শিরোনাম করেছে যে, ফতুল্লা থানা বিএনপির একটি অংশ নাকি এই অনুষ্ঠান বর্জন করেছে? আরে ভাই বর্জন করবেন কি? চাঁদাবাজি ও দখলবাজির কারণে আপনাদেরকে তো আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে। আপনাদেরকে আমরাই বর্জন করেছি। আমরা যদি আপনাদের কাছে দাওয়াত নিয়ে যেতাম তাহলে বর্জন হতো। আপনাদের চাঁদাবাজি, দখলবাজি সন্ত্রাসীর কারনে ফতুল্লা থানা বিএনপি আপনাদের প্রত্যাখান করেছে, বর্জন করেছে। আপনাদেরকে ফতুল্লার জনগণ টোকাই হিসেবে চিনে। টোকাইদের ফতুল্লার রাজনীতিতে আর কোনো দরকার নাই। এই টোকাইরা ফতুল্লার রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে না।
ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহামুদ পলাশের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন।
উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহামুদ মোল্লা সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
এখানে উল্লেখ্য যে, সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার সহ তাদের অনুগামীরা।
একই সমাবেশে ফতুল্লা থানা বিএনপি নিয়ে গিয়াস বলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপিকে আমরা ঢেলে সাজিয়েছি। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিপথগামী হয়েছেন। যারা চাঁদাবাজি, জায়গাজমি দখল, অর্থ লুন্ঠন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই কারণে আজ তারা এই সমাবেশে উপস্থিত হতে পারেনি। মানুষ তাদের ও তাদের অপকর্মকে ঘৃণা করে। যাদের নেতৃত্বে বিএনপির হাজারো মানুষ আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের আমি অভিনন্দন জানাই। ফতুল্লার কয়েকজন নিজেকে অনেককিছু মনে করেন। তারা নিজেরা যোগ্য না। আরেকজনের উপর ভর দিয়ে চলেন। তারা বর্তমানে হতাশার মধ্যে আছেন। আপনারা ক্ষমা চেয়ে বিএনপিতে ফিরে আসতে পারেন। আপনারা কোনো ভাইকে ধরে, টাকা দিয়ে বিএনপিতে আসতে চেষ্টা করছেন। তা আর পারবেন না। আপনারা প্রত্যেকদিন গিয়াস উদ্দিনকে জেলা বিএনপির সভাপতি থেকে বিদায় করে দেন। এগুলো ছেড়ে দেন। এগুলো দিয়ে আর হবে না। স্বাধীন দেশে এখন আর টাউট, বাটপারের জায়গা হবে না। টাকা দিয়ে, কেন্দ্রীয় নেতা দিয়ে নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্বে আসবেন তা আর হবে না। অনেক ফাঁকাবুলি ছাড়ছেন, বিপথগামী হচ্ছেন। ছোট ছোট মিটিং, মিছিল করে ফেসবুকে দেন। আপনারা শুধু ফেসবুকেই থাকবেন। আমি ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে এই জায়গায় এসেছি। এগুলো করে আমার সঙ্গে পার পাবেন না।
আপনার মতামত লিখুন :