ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মো. মুরসালিন আলম (২২) গুলিবিদ্ধের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৬১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই মামলায় আরও ১৫০-২০০ জন নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত রাখা হয়।
ভুক্তভোগীর পিতা মো.শাহ আলম ইতিপূর্বে মামলা দায়েরের জন্যে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আবেদন করলে ২২ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে আদালতের নির্দেশনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি রুজু করা হয়।
এদিন বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উক্ত মামলায় শেখ হাসিনার সহযোগী আসামি হিসেবে রয়েছে, বিদায়ী সরকারের সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (৬০) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (৬০), বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক (৬০) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ মাহবুবুর রহমান হানিফ (৬০), সাবেক সাংসদ এ.কে.এম শামীম ওসমান (৫৫), শামীম ওসমানের বড় ভাই সাবেক সাংসদ এ.কে.এম সেলিম ওসমান (৬০), ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ (৫০) সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময়ে (নাসিক) নং ওয়ার্ড এলাকার জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ডে আহত মুরসালিন আলমসহ বহুসংখ্যক জনতা একত্রিত হয়ে সড়ক অবস্থান নেন। তখন উক্ত মামলার আসামিরা তাদের উদ্দেশ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করা শুরু করে। প্রাণ রক্ষায় ভুক্তভোগী স্থান ত্যাগ করার চেষ্টাকালে তার কোমর এবং দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে মুরসালিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন ব্যক্তি তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যান।
আপনার মতামত লিখুন :