ক্লিন ইমেজে যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর কাদির। রাজনীতি জীবনে রাজনৈতিক মামলার আসামি হলেও তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগ শান্ত রাজনীতিবিদ। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগের দিন নিজের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শ্রমিক বদিউজ্জামান হত্যা মামলায় আব্দুর কাদিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা যুবলীগের টানা ২১ বছরের ধরে সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি ২০০৯ সালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে দ্বিতীয় স্থান হয়ে ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পোশাক শ্রমিক বদিউজ্জামান হত্যা মামলায় আব্দুল কাদিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে গেলেও এখনো নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ থেকে কোন প্রকার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় নাই। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর হাই এখানো কোন মামলার আসামি হননি। জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্বে রয়েছেন আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল। এদিকে আব্দুর কাদিরের শ্যালক মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ রেজা উজ্জ্বল ও মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি। গ্রেপ্তার আব্দুল কাদির নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বড় বোনের স্বামী।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর হাই ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি বাদলকে মুঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করলে তাদের বন্ধ পাওয়া যায়।
আপনার মতামত লিখুন :