News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

আনু হত্যায় রাসেলকে কারাগারে প্রেরণ, হামলার চেষ্টা


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৪, ১০:৫৬ পিএম আনু হত্যায় রাসেলকে কারাগারে প্রেরণ, হামলার চেষ্টা

নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরে এলাকার সাবেক যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনু হত্যা মামলার ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে গত ৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথীর আদালতে গ্রেফতারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সেই সাথে আদালত শুনানি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

একই সাথে নিহতের সাবেক স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্নাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার আগে গত ৭ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  

এদিকে রোববার আনোয়ার হোসেন আনুর আত্মীয় স্বজনরা আদালতপাড়ায় মহড়ায় ছিলেন। এক পর্যায়ে তারা রাসেল মাহমুদের উপর হামলার চেষ্টা করেন। হামলা করতে না পেয়ে তাদের কেউ কেউ পুলিশ ভ্যানে ঢিল ছুড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রহরায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ আগস্ট রাতে শহরের মাসদাইর শেরে বাংলা রোডের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংলগ্ন সেঞ্চুরি হেলেনা অ্যাপার্টমেন্টের নিচে লিফটের খালি জায়গায় জমে থাকা পানিতে ভাসতে দেখা যায় সাবেক যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনুর লাশ। এর আগে দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। হেলেনা কটেজ এর ৯ম তলার ভাড়াটিয়া ছিলেন তিনি। নিহত আনোয়ার হোসেন আনু নাসিকের ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের ছোট ভাই এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি।

এই ঘটনায় ২৭ আগস্ট নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম বাদশা বাদি হয়ে নিহতের ভাগ্নে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাসেলকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামীরা হলো রাসেল মাহমুদ (৪২), নিহতের প্রাক্তন স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্না (৪২), নিহতের মেয়ে জান্নাত আরা জাহান প্রেরণা (২১), নিহতের ছেলে সারিদ হোসেন (১৯), শহরের বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়ার দুই ছেলে নুর আলম (৪৫) ও কাজল (৩২) এবং মেয়ে রোকসানা আক্তার পুতুল (৪৬)।

এদের মধ্যে ঘটনার পরপরই নিহতের মেয়ে ও ছেলে সহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছিল নিহত যুবদল নেতা আনুর স্ত্রী পান্নার সঙ্গে ভাগ্নে রাসেলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সেই পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে আনুর সঙ্গে পান্নার ডিভোর্স হয়ে যায়। সম্পদের লোভে ভাগ্নে রাসেল ও সাবেক স্ত্রী এবং সন্তানরা মিলে রাসেলকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

Islams Group
Islam's Group