নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরে সাবেক যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনু হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এছাড়াও নিহতের সাবেক স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার ৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথীর আদালতে গ্রেফতারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল কাইউম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাসেল মাহমুদ ও পাপিয়া আক্তার পান্নাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে তাদেরকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হলে আদালত রাসেল মাহমুদকে ২ দিনের ও পাপিয়া আক্তার পান্নাকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য গত ২৬ আগষ্ট রাতে শহরের মাসদাইর শেরে বাংলা রোডের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংলগ্ন সেঞ্চুরী হেলেনা এপার্টমেন্টের নিচে লিফটের খালি জায়গায় জমে থাকা পানিতে ভাসতে দেখা যায় সাবেক যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনুর লাশ। এর আগে দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। হেলেনা কটেজ এর ৯ম তলার ভাড়াটিয়া ছিলেন তিনি। নিহত আনোয়ার হোসেন আনু নাসিকের ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের ছোট ভাই এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি। ওই ঘটনায় ২৭ আগস্ট নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম বাদশা বাদি হয়ে নিহতের ভাগ্নে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাসেলকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামীরা হলো ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীর মার্টিন গার্মেন্টেস এর গলি এলাকার বাসিন্দা গোল মোহাম্মদের পুত্র রাসেল মাহমুদ (৪২), শহরের বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়ার মেয়ে ও নিহতের প্রাক্তন স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্না (৪২), নিহতের মেয়ে জান্নাত আরা জাহান প্রেরনা (২১), নিহতের পুত্র সারিদ হোসেন (১৯), শহরের বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়ার দুই ছেলে নুর আলম (৪৫) ও কাজল (৩২) এবং মেয়ে রোকসানা আক্তার পুতুল (৪৬), বিসিক শিল্পনগরীর মার্টিন গার্মেন্টেস এর গলি এলাকার বাসিন্দা গোল মোহাম্মদ। এদের মধ্যে ঘটনার পরপরই নিহতের মেয়ে ও পুত্রসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছিল নিহত যুবদল নেতা আনুর স্ত্রী পান্নার সঙ্গে ভাগ্নে রাসেলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সেই পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে আনুর সঙ্গে পান্নার ডিভোর্স হয়ে যায়। সম্পদের লোভে ভাগ্নে রাসেল ও সাবেক স্ত্রী এবং সন্তানরা মিলে রাসেলকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :