News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১

নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে অপহরণ, গ্রেপ্তার-৬


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | বন্দর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে অপহরণ, গ্রেপ্তার-৬

বন্দরে নারীর পাতা  ফাঁদে পরে এক গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে অপহরণের পর মুক্তিপন আদায়ের ঘটনায় সংঘবদ্ধ চক্রের ৬ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারি সকালে বন্দর উপজেলার সাবদী এলাকা থেকে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিন(৩০) রাজধানীর মিরপুর থানার শাহ আলীবাগ এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। এর আগে গত সোমবার ২৭ জানুয়ারি রাতে আনিকা ওরফে রিংকি (২৫) নামে এক নারীর মাধ্যমে বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে  অপহরণ করা হয়।  এ ঘটনায় অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৬ অপহরণকারিসহ  ২১ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৬ অপহরণকারীকে মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারি  দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারিরা হলো, বন্দর থানার নবীগঞ্জ  নোয়াদ্দা এলাকার বোরহান মিয়ার ছেলে শাকিল (২৮) একই থানার দাঁশেরগাও আমিরাবাদ এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে শাকিল (১৯) নোয়াদ্দা এলাকার মো. হোসেন মিয়ার ছেলে রাহাত (২৪) কাইতাখালি এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে শিল্প (২৪) একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭) ও একরামপুর পৌরসভা এলাকার সোহেল পাটুয়ারী ছেলে মো. শরিফ (২৭)।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে,  বন্দরের স্বল্পেরচক এলাকার শাকিল আহম্মেদের স্ত্রী  আনিকা ওরফে রিংকি'র সঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিনের সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে মাধ্যমে  পরিচয় হয় এবং ম্যাসেঞ্জারে কথা হতো। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে রিংকি ম্যাসেঞ্জারে আল আমিনকে বন্দর থানাধীন মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে আসতে বলে। পরে  তাকে অপহরণ করে কাইতাখালি বাস স্ট্যান্ডের পাশে পাকুরের পাড়ে নিয়ে  কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীরা অপহৃত আল আমিনকে বেদম ভাবে পিটিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।

পরে অপহরণকারীরা অপহৃত পিতার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন হিসেবে ৪৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিনকে কাইতাখালি এলাকা থেকে  সাবদী এলাকায় তুলে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে অপহৃত আল আমিন টহলরত পুলিশের গাড়ি দেখে থামানোর সংকেত দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ওই সময় অপহরণকারীরা কৌশলে পালাইয়া যায়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ জনের মধ্যে  বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Islam's Group