ব্যাংকের সাথে প্রতারণা করে শত কোটি টাকা ঋন খেলাপির অভিযোগে ফতুল্লার এমদাদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। রোববার তাকে গ্রেফাতর করা হলেও বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সর্বত্রে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনায় স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়েন ফতুল্লাবাসী। এমদাদকে গ্রেফতারের বিষয়টি গুলশান থানার ওসি মো. তৌহিদ আহম্মেদ নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃত এমদাদ হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরের ছোট ভাই। ফাতেমা মনিরের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলায় একাধিক মামলা রয়েছে। ফাতেমা মনিরের ছেলে ফাহিম ছাত্রলীগ নেতা। তারা একাধীক মামলার আসামি হয়ে এখনো ফতুল্লায় প্রকাশ্যে ঘুরা ফেরা করলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।
স্থানীরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ফাতেমা মনির ও তার ছেলে এবং ভাইদের অত্যাচারে আর হুমকি ধমকিতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও থানার ওসি সহ অনেকেই নাজেহাল হয়েছে। তাদের কথার বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দ করতে পারেনি। এখনো সেই প্রভাব বিস্তার করেই চলছেন ফাতেমা মনির।
স্থানীয়রা আরো জানান, ফাতেমা মনিরের সহযোগিতায় তার ছোট ভাই এমদাদ হোসেন পৃথক তিনটি ব্যাংক থেকে প্রায় একশ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেন।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের অভিযোগ, সাহারা নিটার্স, মার্প নীট কম্পোজিট ও সাহারা ব্রিকসসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম দেখিয়ে কমার্স ব্যাংক, লঙ্কা বাংলা ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় একশ কোটির টাকার বেশি ঋন এমদাদ। এরমধ্যে ব্যাংকে জামানত রাখা জমি থেকেও আংশিক জমি বিক্রি করে দেয় তিনি। এবিষয়ে এমদাদেও বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :