চাকরি করার জন্যে মাত্র তিনদিন আগে গ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বোনের বাসায় এসেছিলেন ২২ বছর বয়েসি বেলাল হোসেন। চাকরির করার আগ্রহ নিয়ে ঢাকায় আসলেও চাকরি পাওয়ার আগেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বোনের বসবাসরত বাড়ির পাশের একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে ছিল এই যুবকের মৃতদেহ। পরবর্তী পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
সোমবার ৪ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় নাসিক ৭ নং ওয়ার্ডস্থ কদমতলী নয়া পাড়া এলাকার হেলাল মিয়ার বাড়ির ছাদ থেকে বেলালের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন।
নিহত যুবক নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার আবুল কাশেম আলীর ছেলে। তার বোন কদমতলী এলাকার ইয়ামিন মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে বসবাস করায় সেও এখানে বসবাস করছিল।
নিহতের বড় বোন মিনারা বেগম জানান, তার ভাই মাত্র তিনদিনই হয় গ্রাম থেকে এসেছে চাকরি করার আগ্রহে। মিনারা বেগম আদমজী ইপিজেড কর্মরত আছে বলে তার ভাইকে নিয়ে এসেছে চাকরি দেয়ার জন্য। আজ সকালে ভাইকে বাসায় রেখে কাজে গিয়েছিল সে। পরবর্তী তার বাসার পাশের একজন তাকে ফোন করে জানিয়েছেন তার ভাই গলায় ফাঁসি দিয়েছে।
মিনারা বলেন, আমার ভাই আমারে কইছিল তার মন টিকে না এইখানে। সে গ্রামে ফিরে যেতে চাইছিল কিন্তু, আইসা দেখি আমার ভাই পাশের বিল্ডিংয়ের ছাদে গলায় ফাঁস লাগানো। নিজ থেকে ফাঁস দিছেন নাকি অন্যকিছু ভাবছেন? জিজ্ঞেস করলে নিহতের বোন বলে, আমার ভাই আইলোই তিনদিন তার তো শত্রু নাই এখানে।
ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রমে থাকা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ ইমরান খান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করেছি। এখনো সেখানেই আছি। মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে এসআই বলেন, ফাঁস লাগানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রকৃত কারণ তো আর ময়নাতদন্তের পর বলা সম্ভব।
আপনার মতামত লিখুন :