নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল বন্দর, সিপোর্ট, বড় বড় নদী পোর্ট, বেশ কিছু স্থলবন্দর এখানে বেশ অনিয়ম আছে। এতে কোন সন্দেহ নেই। এগুলো আমরা আস্তে আস্তে দূর করার চেষ্টা করছি। অনেকে বলে কয়েকজন মিলে দখল করে রেখেছে। গণমাধ্যমেও এটি এসেছে। এগুলো দখলমুক্ত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি যেন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। পার্টিকুলার কারো হাতে যেন না থাকে। দু’মাসের মধ্যে সবকিছু আলাউদ্দিনের চেরাগের মতো চক চক করবে তা না। প্রত্যেকটি জায়গা জঞ্জাল তৈরি হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করছি জঞ্জাল ছুটাতে। তবে ছুটাতে ছুটাতেই আমাদের ৩ মাস হয়ে গেল। এখনো ছুটেছে বলে মনে করিনা।
সোমবার ৪ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সোনাকান্দায় নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ (ডিইডব্লিউ) এবং ডিইপিটিসি-তে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন পরিদর্শন শেষে এসবকথা বলেন তিনি। এর আগে আনন্দ শিপইয়ার্ড পরিদর্শনে যান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, নদী দখলমুক্ত হবে। এখানে সুন্দর ওয়াকওয়ে হয়েছে। আমরা এখনও দেখি ভবিষ্যতে হয়ত একদিন মর্নিং ওয়াকে আসবো। প্রশ্ন হল এখানে কী চুরি-চামারি হয়েছে? হয়ে থাকলে হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে সী ট্রাক ছিল না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা সরকারি কোন কিছু চলতে দেয়নি। মানুষের দুর্ভোগ হয়েছে। বেশি টাকা দিয়ে পারাপার করতে হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ হল সন্দীপ। আমাদের লক্ষ্য সন্দীপের সাথে যোগাযোগ তৈটি করা। ডিসেম্বরে শেষে বা জানুয়ারির শুরু দিকে এই ফেরিগুলো নামবে।
তিনি আরও বলেন, এই নারায়ণগঞ্জ শিপইয়ার্ড নেভি কর্তৃক পরিচালিত। এখানকার কাজ অত্যন্ত উন্নত মানের। এখানে বুয়েট থেকে স্টুডেন্টরা আসে। আশা করি আমরা আমাদের জিনিসগুলো তাড়াতাড়ি পাবো। এগুলো প্রায় প্রস্তুত। এগুলো আমরা ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে পেয়ে যাব।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অ্যাসিস্টেন্ট চিফ অফ নেভাল স্টাফ এর রিয়ার অ্যাডমিরাল খন্দকার আকতার হোসাইন, কমোডর জাহাঙ্গীর আদিল সামদানী, নৌপরিবহনের মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জাহিদুল ইসলাম, উপসচিব কাজী আরিফ বিল্লাহ, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার বণিক, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, যুগ্ম-সচিব এবং সদস্য (প্রকৌশল) বিআইডবি¬উটিএ মোহাম্মদ মনোয়ার জামান, বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (কারিগরি) কাজী ওয়াসিফ আহমাদ, পরিচালক (অর্থ) ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ হাসেমুর রহমান চৌধুরী, পরিচালক (বাণিজ্যিক) এস এম আশিকুজ্জামান, বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (নৌনিট্রা বিভাগ) মোঃ সাইফুল ইসলাম, পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন বিভাগ) এ, কে, এম আরিফ উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও বৃত্তাকার নৌপথের প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ কবির প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :