সাংবাদিক এবং ফতুল্লা প্রেসক্লাবকে হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে ফতুল্লা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ফতুল্লার সাংবাদিক সমাজ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন ৫ আগষ্টের পর থেকে সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছেন। তিনি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি গত শনিবার ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে। তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দ জানাচ্ছি এবং বক্তব্য প্রত্যাহারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেট দিচ্ছি। যদি বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন তা হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিবো।
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম বলেন, সাংবাদিকেরা কারো গোলাম না, তিনি চোখ রাঙাবেন আর সাংবাদিকেরা ভয় পেয়ে যাবেন তা কিন্ত নয়। আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সহ-সভাপতি সেলিম মুন্সী নলেন, ফ্যাসিস্টরা সর্বপ্রথম গণমাধ্যমের কণ্ঠ চেপে ধরে। গিয়াসউদ্দিন যে বক্তব্য দিয়েছে তা ফ্যাসিস্টের অংশ। তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন।
দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক কবিরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকেরা আপনার চাকরি করে না। আপনি জাতীয় পার্টি করেছেন, আওয়ামীলীগ করেছেন। আপনি স্বৈরাচারের দোসর।
বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ ফটোজার্নলিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুলইসলাম সবুজ, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলামিন প্রধান,দৈনিক খবর পত্রের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মনির হোসেন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রফিকুল্লাহ রিপন, ফতুল্লা রিপোটার্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, আওয়ার নারায়ণগঞ্জ ডটকমের সম্পাদক মামুনুর রশীদ মুন্না।
আপনার মতামত লিখুন :