অটোরিকশা বিরুদ্ধে অ্যাকশন

অতি শীঘ্রই অটোরিকশার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। শহরের প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টগুলোতে অটোরিকশার প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হবে। সেই সাথে বৈধভাবে নাম্বার প্লেট ছাড়া যে সকল অটো রিকশা চলাচল করছে তাদের আটক করা হবে যার মাধ্যমে আশা করা যায় নগরবাসীকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেয়া যাবে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, বিগত কয়েক মাস ধরেই নারায়ণগঞ্জ শহরজুড়ে যেন অটোরিকশার রাজত্ব চলছে। পুরো শহরজুড়েই তারা দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে তারা যেন একেবারেই বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। তাদের যেন নিয়ন্ত্রণ করার মতো কেউ নেই। যে যেভাবে পারছেন শহরজুড়েই একপ্রাপ্ত থেকে অপরপ্রান্ত ছুটে চলছেন।

সেই সাথে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত শহরজুড়ে যানজট লেগে থাকে। তাদের এই দৌরাত্ম্য নগরবাসীকে দিন দিন বিষিয়ে তুলছে। তার উপর রয়েছে শহরের প্রধান সড়কজুড়ে ফুটপাতে হকারদের উৎপাত। সারাদিনজুড়েই ফুটপাতে হাটার কোনো উপক্রম থাকে না। ফলশ্রুতিতে জনসাধারণ দিন দিন ক্ষোভে ফুঁসে উঠছেন।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জবাসীর অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে যানজট। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত এই যানজট লেগে থাকে। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই প্রশাসনের কিছুটা দূর্বলতায় এই যানজট যেন প্রকট আকার ধারণ করছে। আর এই যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে অটোরিকশা।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই এই অটোরিকশা বেপোরোয়া হয়ে পড়ে পড়েছে। অবৈধ রিকশার রাজত্ব চলছে যেন পুরো শহরে। চারপাশ থেকে অবাধে ইজিবাইকের প্রবেশ শহরজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। দিনের বেলায় চাষাঢ়া থেকে মন্ডলপাড়া আসতে সময় লাগে ঘণ্টা কিংবা তারও বেশী। যানজট না থাকলে ১০ মিনিটের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানোর সুযোগ থাকলেও যানজটের কারণে অনেক সময় অতিবাহিত করতে হয় রাস্তায়।

ভুক্তভোগীদের মতে, নগরীকে যানজট মুক্ত রাখতে হলে শহরে ইজিবাইক, মিশুক ও ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় দিন দিন যানজটের কারণে এ শহর অচল হয়ে যাবে। অবৈধ এসব যান চলাচলের বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগ যদি এখনি কঠোর না হয়, তা হলে এ শহরে চলাচল করা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অটোরিকশার প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে আমাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ অটোরিকশা আটক করা হবে। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। মিষ্টি কথায় কাজ হবে না। যদি অভিযানে সফল হতে পারা তাহলে আশা করি শহরের যানজট কিছুটা কমে আসবে।