স্টাফ রিপোর্টার : আর মাত্র ১৩ দিন পর নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ হোসিয়ারি সমিতির নির্বাচন। এরই মধ্যে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ৩৩জন প্রার্থী। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত্র পর্যন্ত ভোটারদের বিভিন্ন আশা ভরসা দিয়ে ভোট চাইছেন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এদিকে ভোটের রাত আসার আগেই ক্ষমতাচ্যুত ওসমানদের ভোট নিয়ে বিপাকে রয়েছে দুই প্যানেল। চাঁদ রাতে আগে ওসমানদের ভোটগুলো প্রার্থীদের কাছে রিজার্ভ নিতে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা আসা পর থেকে বাংলাদেশ হোসিয়ারি সমিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন ওসমান পরিবার। ওই সময় প্রয়াত নাসিম ওসমানের পর সেলিম ওসমান আঙ্গুলের ইশারায় পরিচালনা করা হয় হোসিয়ারি সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটি। ২০১৪ সালে সেলিম ওসমানের ইশারায় হোসিয়ারী সমিতির সভাপতি হন নাজমুল আলম সজল। দেওভোগে ছেলে ও শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের তৎকালীন সভাপতি ছিলেন তিনি। টানা হোসিয়ারি সমিতির সভাপতি হয়ে গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তিনি দুবাই চলে যান। সজল ও কবির হোসেনের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন সাঈদ আহম্মেদ স্বপন। তিনি এবার যুবদল নেতা ও সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান বদু প্যানেলের প্রার্থী হয়ে সমালোচিত রয়েছেন।
এদিকে বদু প্যানেলে ফ্যাসিবাদীদের কেউ নেই বলে জানিয়েছেন অপর প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু।
ওসমান ভোট নিয়ে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাকালে শাহজালালের পর নাজমুল আলম সজল হোসিয়ারি সমিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ওই সময় থেকে হোসিয়ারি একাধিক প্রভাবশালী মালিকরা ওসমানদের আশ্রয় প্রশয়ে চলে যান। এতে করে বিগত ১০ বছরে হোসিয়ারি সমিতির কমিটিতে ওসমানের সমর্থন নিয়ে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ পরিচালক পদে আসীন ছিলেন। বিনা ভোটে বেশিভাগ কমিটি নিয়ে ভোটাররা চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এতে ওসমানদের একাধিক ভোট এখন ফ্যাক্টর হয়ে দাড়িয়েছে।
গত বছর হোসিয়ারি সমিতির এজিএমে ওসমানের শিখিয়ে যাওয়া নিয়মে বদিউজ্জামান একক প্যানেল করে বিনা ভোটে জয়ী মালা পড়তে যাচ্ছিলেন। তখন মহানগর বিএনপি এক শীর্ষ নেতা ইশারায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১৪জন হোসিয়ারি নির্বাচনে মনোয়নপত্র ক্রয় করে জমা দেন। এরপর থেকে নির্বাচনে আবহাওয়া ভোটের বার্তা বইতে শুরু করে। এতে হোসিয়ারি মালিকদের মধ্যে উৎসাহ উচ্ছাস প্রকাশ পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এমন সাহসী ভূমিকায় ভোটারদের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে ওসমান ভোট ফ্যাক্টরে হোসিয়ারি সমিতির কয়েকজন সাবেক পরিচালক জানিয়েছেন, বিগত বছরগুলোতে ভোট গ্রহণ করা হয়নি। ওসমানের পছন্দে হোসিয়ারি সমিতি নির্বাচনে তাদের নেতাই জয়ী হতেন। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নতুন মোড় নিয়ে দাড় করিয়েছে হোসিয়ারি নির্বাচন। ফলে ৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে স্বতন্ত্র ১৪জন প্রার্থী অগ্রাধিকার দিয়ে আরেক প্যানেলের প্রার্থীদের মূল্যায়িত করা হবে। ওসমানদের ভোট ফ্যাক্টর হওয়ার কারণে রয়েছে। তারা বিএনপি সুবিধাভোগি নেতাদের হোসিয়ারি সমিতির নির্বাচনে ভুমিকা রাখতে দেয়া হবে না। ওসমানদের সমর্থন নিয়ে ভোট প্রয়োগে থাকবে তাদের সমর্থক ভোটাররা।
আপনার মতামত লিখুন :