News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গণসংহতি আন্দোলনের সিভিল সার্জনের কার্যালয় ঘেরাও


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৬:৩৫ পিএম গণসংহতি আন্দোলনের সিভিল সার্জনের কার্যালয় ঘেরাও

ডেঙ্গু রোধে সিটি কর্পোরেশন ও সিভিল সার্জনের অবহেলার অভিযোগ করে সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার ১ ডিসেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে এই ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়।

এদিন বেলা ১১ টায় শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নতুন কোর্ট এলাকায় সিভিল সার্জনের কার্যালয় ঘেরাও করেন। সেই সাথে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় ধরে এই অবরোধ কর্মসূচি চলে। পরবর্তীতে সিভিল সার্জন ডা. এ.এফ.এম মুশিউর রহমান এসে  ঘেরাওকারীদের সাথে কথা বলেন।

এ সময় সিভিল সার্জনের কাছে ৯ দফা দাবি পেশ করেন নারায়ণগঞ্জ গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। সেই সাথে সিভিল সার্জন তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা সেখান থেকে চলে আসেন।

ঘেরাও কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেন, আমরা গত ৭ দিন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সিটি কর্পোরেশনের বাইরে বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু গণসচেতনতায় গণসংযোগ, পথসভা করি। এ সময় নাগরিকরা আমাদের জানিয়েছেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনের যথাযথ উদ্যোগ তারা দেখেননি। এবং কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেন নি। সিটি কর্পোরেশন পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতির কোনরূপ উন্নতি আমাদের কাছে দৃশ্যমান হয়নি।
তিনি আরও বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য সেবার দায়িত্ব নিয়ে কোন ধরনের অবহেলা, ব্যর্থতা আমরা আশা করিনা। নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়বদ্ধ। তাদের ব্যর্থতার জন্য তারা অবশ্যই জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করবেন এবং জনগণকে স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে যথাযথ উদ্যোগ নিবেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত কার্যক্রম পদক্ষেপ না নিলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা.এ.এফ.এম মুশিউর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের বসবাস। প্রায় ৩ গুণ মানুষ বেশি বসবাস করে এখানে। ৩শ’ শয্যা হাসপাতাল নাম মাত্র, সেখানে ৩শ’ শয্যা নাই। সেখানে বিদ্যমান আছে ১৫০ শয্যা, তাও নির্মাণ কাজের কারণে ৩৮শয্যা তারা দিতে পারে নাই। তার মানে ১২০ থেকে ১৫০ শয্যা। ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ১শ’ শয্যা, সেখানে সেটা আছে।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি, আমরা একেবারে কোন কিছু করিনি এটা কিন্তু সঠিক না। হাসপাতাল গুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষা চলছে। সরকার আমাদের যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয় আমরা সেটুকু কাজই করি। গর্ভমেন্ট বলেছে ৫০টাকা করে হাসপাতালে পরীক্ষা হবে। আমরা কিন্তু তাই করছি। যেখানে বাহিরে ২ হাজার টাকা লাগে। আমরা আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

গণসংহতি আন্দোলনের দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে-সেবা পেতে অব্যবস্থাপনা ও হয়রানিমুক্ত শতভাগ সেবা নিশ্চিত করতে হবে, প্রয়োজনীয় ঔষধের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, রোগ নির্ণয়ের সকল প্রকার টেস্ট হাসপাতালগুলোতে করার ব্যবস্থা করতে হবে, ডাক্তার (বেসরকারি খাতের) ফি এবং টেস্ট ফি কমাতে হবে, হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ মেডিকেল অফিসার নিয়োগ করতে হবে, অবকাঠামো ও মেডিক্যাল যন্ত্রাংশের ঘাটতি পূরণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, মূমুর্ষ রোগীদের জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সহজ করতে হবে, উপজেলা সদর হাসপাতালগুলোসহ জেলা সরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি, ডায়াগনোস্টিক, প্যাথলজি ও ক্লিনিকগুলোর দৌরাত্ম মুক্ত করা, নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জরুরি অগ্নি নিরাপত্তাসহ পুরো হাসপাতাল কম্পাউন্ডে শতভাগ কমপ্লায়ান্স নিশ্চিত করতে হবে।

Islams Group
Islam's Group