নতুন পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার ও সিটি করপোরেশনে নতুন প্রশাসক কারুজ্জামান যোগদান করার কিছুদিনের মধ্যে পরিবর্তন হতে দেখা যায় নগরীর বিভিন্ন সড়কের যানজটের চিত্র। তখন চাষাড়া, দুই-নং রেলগেইট, লিংকরোড সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সিটি করপোরেশনের কর্মীদের চেষ্টায় অনেকটা শৃঙ্খলা ফিরে এসেছিলো। তবে সড়কের সেই শৃঙ্খলা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এখন আবারো নারায়ণগঞ্জ শহরের বি.বি রোডসহ একাধিক সড়কে তীব্র যানজট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে রাস্তায় সাধারণ যাত্রীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
নগরীর বিবি রোডের পাশে অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার। দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিন এখানে ডাক্তার দেখাতে আসেন শতশত রোগী। তবে শহরে তীব্র যানজটের কারনে এখানে পৌছাতে সকলের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে তাসলিমা বেগম নামে এক নারী বলেন, আমার মায়ের ক্যান্সার হয়েছে। তাকে নিয়ে প্রায়ই এখানে আসতে হয়। আমরা আসি আড়াইহাজার থেকে। কিন্তু এই নারায়ণগঞ্জ শহরে এতো জ্যাম যে আমরা খুবই সমস্যায় পড়ে যাই যাতায়ত করতে গিয়ে। অনেক সময় পপুলারের সামনে থেকে জ্যামের কারণে গাড়ি নিতে পারিনা। তখন অসুস্থ মাকে নিয়ে বিপদে পড়তে হয়। আমাদের মতো আরো অনেক অসুস্থ্য রোগীদের এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শহরের বিবি রোড, নবাব সলিমউল্লাহ সড়ক, সোহরাওয়ার্দী সড়ক, ইশা-খা সড়কের মতো ব্যস্ততম সড়কে যানজটের মাত্রা বেশি। সিটি করপোরেশনের ড্রেন নির্মাণ ও সংষ্কার কাজ, মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তার নিয়ে যাওয়া, অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড, রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি প্রবেশ এবং অটোর রিকশার জন্য বাড়ছে যানজট।
চাষাড়া শহীদ মিনারের সামনে আবুল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহর যানজটের শহর। কিছুদিন ভালো ছিলো কিন্তু এখন আবার আগের অবস্থা। এতো খারাপ অবস্থা থাকলে কি হয়? ৫ মিনিটের রাস্তা ২০ মিনিটের আগে কোনো ভাবেই অতিক্রম করা যাচ্ছেনা। কখনো কখনো আরো বেশি সময় লাগছে। সবার পক্ষ্যে তো হেঁটে আসা সম্ভব না। যারা রিক্সায় উঠে তারা কোথাও সময় মতো যেতে পারেনা শুধু এই জ্যামের কারণে। যানজট নিরসনের জন্য এসপি, ডিসি এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষ্যেপ নেওয়া দরকার। তারা চাইলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :