তিন মেয়েকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইর বাজার এলাকায় সুখে-শান্তিতেই বসবাস করে আসছিলেন আব্দুর রহিম। কিন্তু হঠাৎ এক সংবাদেই পরিবারটিতে নেমে এসেছে কালো মেঘের ঘনঘটা। আব্দুর রহিমের মাত্র ১১ বছর বয়সী মেয়ে কথার ধরা পড়েছে অ্যাপলাস্টিক অ্যানিমিয়া নামক এক বিরল রোগ। টাকার অভাবে হচ্ছে না সুচিকিৎসা। বিরল এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে বর্তমানে দিনযাপন করছে শিশুটি। ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিশুটির বাবা সয়েল টেস্টের ছোট একটি দায়িত্বে রয়েছেন। এই কাজ করে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনোমতে পরিবারের খাবারের জোগান মেটে। শিশুটির বড় দুই বোন এখনো শিক্ষার্থী। সবকিছু মিলিয়ে শিশুটির চিকিৎসার জন্য সমাজের ধনাঢ্যদের শরণাপন্ন হয়েছেন তার বাবা। তাঁর বাবা-মা আর বড় দুই বোন যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাঁচিয়ে রাখার। তবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ছাড়া আর উপায় নেই বাঁচাবার। দিনকে দিন অবস্থার অবনতি হওয়ায় অতি দ্রুতই বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করাতে বলেন ডাক্তারেরা। এত দ্রুত এত পরিমাণ অর্থ কোন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব না।
কথার বাবা আব্দুর রহিম জানান, চলতি বছরের মে মাসের ২১ তারিখে ডেঙ্গু সন্দেহে কথাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ডেঙ্গু ধরা না পড়লে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পরীক্ষা করালে তার অ্যাপলাস্টিক অ্যানিমিয়া রোগ ধরা পড়ে। এরপর তাকে সুস্থ করতে নানা চিকিৎসা করাতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এখনো সে সুস্থ হয়নি। চিকিৎসক বলেছেন, অ্যাপলাস্টিক অ্যানিমিয়ার শেষ পর্যায়ে রয়েছেন তার মেয়ে। এই মুহূর্তে তার চিকিৎসা না হলে তাকে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে যাবে। বর্তমানে তার মেয়ের যে অবস্থা রয়েছে এই অবস্থায় বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করাটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে প্রায় ৩৫-৪০ লাখ টাকার প্রয়োজন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি সমাজের বিত্তবান, হৃদয়বান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
সহায়তা পাঠানোর নম্বরগুলো
বিকাশ (পারসোনাল) : 01990582802
নগদ (পারসোনাল) : 01612520190
রকেট (পারসোনাল) : 01869625460
আপনার মতামত লিখুন :