তরুণ ও উদ্যমী নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর জন্মদিন ছিল ৬ জুন। প্রথম প্রহরে নেতাকর্মীরা কেক কেটে এ নেতার জন্মদিন পালন ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি এখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী কমিটির সদস্য।
মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু নাম হলেও রূপগঞ্জের কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ প্রায় সকলেই তাকে সম্পন্ন নামের চেয়ে ‘দিপু ভূঁইয়া’ নামে ডাকতেও বলতে ভালোবাসেন। দিপু ভূঁইয়াও খুব সহজেই সাধারণ মানুষকে কাছে টানে বলে রূপগঞ্জ অবস্থান থাকলে মানুষের ভিড় থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও বিএনপির রাজনৈতিক প্রবীণ ও নবীন নেতাকর্মীদের অসুস্থতা, সমস্যা ও কারাবান্দি হলেও ছুটে যাওয়ার ফলে তাদের কাছের আত্মীয় হয়ে উঠেছেন তিনি। আর তরুণ সমাজের কাছে তিনি হলে আইকন।
১৯৭৬ সালের ৬ জুন ঢাকার শান্তিনগর বাসায় বাবা মজিবুর রহমান ভূঁইয়া ও মা শামসুনাহার বেগমের সংসারে জন্ম নেন মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু। বাবার মার আদর ভালোবাসায় সেখানেই বড় হয়ে উঠেন তিনি। বাবা ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক কর্মকা-ের কারণে ঢাকায় বসাবাস করতেন। তবে নিজ বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ‘ভূঁইয়া বাড়ি’।
রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ভূঁইয়া পরিবারের সদস্য মুসলিম কটন মিলের মালিক গুলবক্স ভূঁইয়ার ছেলে সুলতান উদ্দিন ভূঁইয়া ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি। তার বড় ভাই মজিবুর রহমান ভূঁইয়া রূপগঞ্জ উপজেলার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। মজিবুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু। আর গুলবক্স ভূঁইয়ার নাতি।
দিপু ভূঁইয়া ছাত্র জীবন থেকেই রাজনৈতিক কর্মকা- সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তবে তখনও কোন পদ পদবী ছিল না। এলাকায় মানুষের সমস্যা ও সেবায় সবর্দা কাজ করে যেতেন তিনি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও মানুষের ভালোবাসায় দলীয়ভাবে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ২০০৭ সালে বিএনপি সহযোগী সংগঠন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। মূলত তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়েই বিএনপির রাজনীতিতে আসেন।
পারিবারিকভাবে ইয়াসমিন ইসমাইলকে বিয়ে করেন দিপু ভূঁইয়া। তাদের সংসারে দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে শাহনের মোহেমিন ভূঁইয়া ও ছোট ছেলে মিখাইলুর রহমান ভূঁইয়া।
রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু বলেন, পারিবারিকভাবে ছোট বেলা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাবা দাদার রাজনীতির কর্মকাণ্ড দেখতে দেখতে বড় হওয়া। তবে আমি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার পিছনে আমার মায়ের ও বাবার দুইজনের বেশি অনুপ্রেরণা ছিল। তারাই আমাকে সাহস ও সহযোগিতা করেছে। আর তাদের অনুপ্রেরণায় ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতি করি। তবে তখন কোন পদ পদবী ছিল না। পরে দেশ নেত্রী আর রাজনৈতিক মা বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। বর্তমানে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য।
জন্মদিনের নিজের স্বপ্ন হিসেবে দিপু ভূঁইয়া বলেন, ‘মানুষের সেবা করা ও সারাজীবন মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যেতে চাই।’
আপনার মতামত লিখুন :