বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় মামলা দায়ের করতে এসে জবানবন্দির সময়ে সঠিক তথ্য দিতে না পাড়ায় আটক ছিলেন কথিত বাদী। পরে বিকেলের দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের আদালতে এই ঘটনা ঘটে। এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাকে এজলাসে আটক রাখা হয়।
আদালত সূত্রে জান যায়, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঘটনায় মফিজুল ইসলাম নামে একজন আদালতে মামলা করতে আসেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সময়ে রিয়াজ মোর্শেদ অপু নামে তার ভাগিনা মারা যান বলে দাবী করেন। সে অনুযায়ী মামলার জবানবন্দী নেয়ার সময় আদালত মফিজুল ইসলামকে তার বোন ও বোনের স্বামীর নাম জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিতে পারেনি।
সেই সাথে মামলায় আসামী করা হয় বিভিন্ন জেলার লোকজনকে। মামলায় ২২৭ জনের নাম উল্লেখ সহ ১৫০ জনকে আসামী করা হয়। এসকল বিষয় নিয়ে আদালতের সন্দেহ হলে কথিত বাদী মফিজুল ইসলামকে আটক রাখা হয়। পরবর্তীতে আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমি অন্যজনের মামলায় শুনানী করতে এসেছিলাম। আমি বিস্তারিত জানি না।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মো. বেলাল হোসাইন বলেন, আমি আমার এক বন্ধুর কথায় মামলার শুনানী করতে এসেছিলাম। মামলার বাদীকে আমি চিনতাম না। যার কারণে এমনটা হয়েছে। পরবর্তীতে বিচারক আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন ওকালতনামায় আমার স্বাক্ষর দেয়া হয়নি। সেই সাথে বিচারক বলেন ওকালতনামায় স্বাক্ষর দিয়ে মামলার আবেদন করার জন্য। আমি পরবর্তীতে ওকালতনামা উঠিয়ে নিয়ে আসি। সেই সাথে মামলার বাদীকে ছেড়ে দেয়া হয়।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, শুনেছিলাম মামলা করতে আসা একজন সঠিকভাবে জবানবন্দী দিতে না পারায় তাকে আটক রাখা হয়েছিলো। পরবর্তীতে কি হয়েছে সেটা বলতে পারছি না।
আপনার মতামত লিখুন :