নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে শহরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে। তবে কিট সংকটের কারণে সেখানে বন্ধ রয়েছে রক্তের প্লাটিলেট পরীক্ষা। ফলে রোগীরা বাধ্য হচ্ছেন বেসরকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে প্লাটিলেট পরীক্ষা করাতে। ডেঙ্গু রোগীর স্বজনদের দাবি, সরকারী হাসপাতালে কিট সংকট থাকায় তাদের অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বাহিরে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।
১৮ নভেম্বর নগরীর ১০০ শয্যা ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে আনিস আহম্মেদ নামে পাইকাড়া এলাকার এক বাসিন্দার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার মেয়ের ডেঙ্গু তবে এখানে কিট নাই। এখানে ভর্তি হলে স্যালাইন দেবে, ওষুধ দেবে এবং হাসপাতালের খাবারও পাবেন তবে কিটের সংকট। এটা বাইরে থেকে করতে হচ্ছে। আমার বাইরে একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে প্লাটিলেট পরীক্ষা করতে হইসে। যার জন্য ৫০০ টাকা লাগসে কিন্তু হাসপাতাল থেকে করলে তো এই বাড়তি খরচ লাগত না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১০০ শয্যা হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কিট আছে তবে সবাইকে আমরা এই সেবাটা দিতে পারছিনা। কারণ প্রতিদিন যে পরিমাণ কিট লাগছে তা আমাদের কাছে নেই। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে দ্রুতই কিট আসবে।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় নারায়ণগঞ্জে ৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ১ শ ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হলো জেলায়। আর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১১৬ জন রোগী।
এদিকে শহরের ৩০০ শয্যা খানপুর হাসপাতালেও ডেঙ্গুর কিট সংকট রয়েছে বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি হাসপাাতলে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীদের নানান ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন রোগীদের স্বজনরা।
আসমা বেগম নামে খানপুর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক ডেঙ্গু রোগী বলেন, আমি কিট পাইনি। যেদিন ভর্তি হয়েছি বাহিরে চেষ্ট করেছি। এখন আছে কিনা জানিনা। তবে হাসপাতালে ভেতরে অনেক নোংরা পরিবেশ। কুকুর-বিড়াল ঘুরে। পোকা-মাকড়, মশা-মাছি তো আছেই। এটা কোনো হাসপাতাল হতে পারেনা। আমরা গরীব বলে এসেছি।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে হাসপাতালের ত্বত্তাবধায়ক চিকিৎসক ডাক্তার আবুল বাশারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :