মৌসুম পরিবর্তনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সরকারি প্রজ্ঞাপনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের অপসারণ করায় সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কর্মসূচিতেও ভাটা পড়েছে। ফলে নগরীতে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ডেঙ্গু সংক্রমণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ দিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট সংকট। মাঝে ১২ ও ১৩ নভেম্বর কীট না থাকায় হাসপাতালটিতে বন্ধ ছিল ডেঙ্গু পরীক্ষা। ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরের আগেই হাসপাতালে থাকা কীট শেষ হয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার বাইরে থেকে ২০০কীট কিনে এনে রোগীদের সেবা চালু করা হয়েছে।
জানা গেছে , এডিস মশাবাহিত ভাইরাসটির সংক্রমণও প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নারায়ণগঞ্জে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৪৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট রোগীর সংখ্যা ১৯৯৪ জন।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে নারায়ণগঞ্জে এখন পর্যন্ত কোন মৃত্যুর খবর পাওনা না গেলেও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় গিয়ে কয়েকজনের মৃত্যুর তথ্য রয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল, আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে ৯৮জন।
খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আবুশ বাশার জানান, ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে মোট ৩২জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে মোট ৪০ থেকে ৪৫জন রোগীর ডেঙ্গু টেস্ট করা হয়ে থাকে। ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে তারা হাসপাতালে সেবা নিতে আসে। এমন অবস্থায় হাসপাতালে কীট সংকট দেখা দিয়েছে।
কীট সংকটের কারণে ডেঙ্গু পরীক্ষার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত টেস্ট হয়েছে। এরপর কীট না থাকায় আর টেস্ট করা সম্ভব হয়নি। আমরা সরকারের কাছে চাহিদাপত্র দিয়েছি। কিন্তু সরকারি বরাদ্দ পাওয়া তো একটু সময় সাপেক্ষ। তাই বৃহস্পতিবার আমি হাসপাতালের ফান্ড থেকে ২০০টি কীট ক্রয় করে আবারো পরীক্ষা চালু করেছি।
সমাজের বিত্তবান এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রতি তিনি অনুরোধ করে বলেন, অনেক বিত্তবান বা সামাজিক সংগঠন গুলো বিভিন্ন সেবা মূলক কর্মকা- পরিচালিত করে থাকে। আমি তাদের প্রতি আহ্বান রাখবো আপনারা চাইলে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে কীট দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন। কেউ দিতে চাইলে আমরা সেটি সাদরে গ্রহণ করবো।
আপনার মতামত লিখুন :