নারায়ণগঞ্জে বেড়ে চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পুরো জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ৮৫০ জন ছাড়িয়েছে।
জানা গেছে, নগরীর ১০০ শয্যা ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে এক মাসে ১৪০ জনের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। ৩০০ শয্যা খানপুর হাসপাতালে এক মাসে ভার্তি হয়েছেন ৮০ জন রোগী। আর এই দুই হাসপাতালেই পুরুষ রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণেই আছে। শুরুতে যতটা ভয়াবহ হবে বলে মনে করা হচ্ছিল তা হয়নি।
নগরীর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের এক নার্স বলেন, ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে অনেক আছে। তবে দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে এখন নারায়ণগঞ্জে প্রভাব কম। তারপরও রোগীদের সঠিক তথ্য নেই আমাদের কাছে। এখানে চিকিৎসা ভালো না দেখে অনেকে ঢাকা এবং স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, তাই সঠিক হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। আর আমার ধারণা এই বছর ডেঙ্গু গত বছরের মতো হবে না।
আনিস নামে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের এক রোগী বলেন, হাসপাতালে আছি একদিন হলো। নার্স আছে নিয়মিত তবে ডাক্তারদের দেখা পাই খুবই কম। সরকারি হাসপাতাল যেমন হয় আরকি। খাবারের মানও খুব একটা ভালো না। এই ওয়ার্ডে যেই ক’জন রোগী আছে কেউ মশারি টানায় না। আর না হলে সব কিছু মোটামুটি ঠিক আছে।
এ বিষয়ে নগরীর ৩০০ শয্যা খানপুর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক ডাক্তার আবুল বাসার বলেন, গত এক মাসে ৮০ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ১৯ জন রোগী ভর্তি আছে। আমরা শুরুতে যতটা ভেবেছিলাম ডেঙ্গু সেইভাবে ছড়ায়নি। তবে মানুষ সচেতন না হলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে। তাই সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জে সিভিল সার্জন ডাক্তার মুশিউর রহমান বলেন, ডেঙ্গু রোগী প্রতিদিন বাড়ছে। আমরা শুরুতে ভেবেছিলাম অনেক রোগী হবে। কিন্তু এখন তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। তারপরও আমরা সতর্ক আছি। আমাদের সবগুলো সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে রোগীদের।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মশার ওষুধ দিচ্ছি। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বাড়ির আঙিনা-ছাদ সব জায়গায় মশক নিধনকর্মীদের ওষুধ দিতে বলেছি। এর পাশাপাশি মানুষ একটু সতর্ক হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :