নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত পুরো জেলায় ৫০৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মোট অক্রান্ত ৩৭ জন। তবে এই সংখ্যা আরো বেশি বলে জানা গেছে। কারণ সংশ্লিষ্টদের দাবি, অধিকাংশ রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নগরীর ১০০ শয্যা ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের তথ্য বলছে, গত ৩০ দিনে ১২০ জনের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের পুরুষ রোগীর সংখ্যা বেশি।
হাসপাতালের দুজন নার্স বলেন, দিন যতো যাচ্ছে ডেঙ্গু আরো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এই বছর আগের বারের চেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হবে কারণ বৃষ্টিপাত বেশি হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর উন্নত চিকিৎসা নেই। ঢাকায় সারা দেশ থেকে রোগী আসে। তাই স্থানীয় মানুষ যদি নিজেরা সচেতন না হয় তাহলে সামনে অনেক বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।
নগরীর ৩০০ শয্যা খানপুর হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ বলছে, গত মাসে প্রায় ৬০ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ২০ জন রোগী হাসপাতালটিতে ভর্তি আছেন।
আসমা রহমান নামে এই হাসপাতালের এক নার্স বলেন, রোগী বাড়ছে। প্রতিদিন রোগী বাড়ছে। যেই হারে বাড়ছে পরিস্থিতি হাতের বাহিরে চলে যেতে খুব বেশি দিন নেই। তখন আমাদের পক্ষে এতো রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবেনা।
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জে সিভিল সার্জন ডাক্তার মুশিউর রহমান বলেন, ডেঙ্গু রোগী প্রতিদিন বাড়ছে। নারায়ণগঞ্জ শহর ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় থেকে রোগী বেশি আসছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যু নেই। সকলে যদি এখন থেকে সচেতন না হয় তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়বে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে নাসিকের সিও মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ডেঙ্গু বাড়ছে তাই আমরা অনেকগুলো কাজ হাতে নিয়েছি। এরমধ্যে আমি নিজেও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচারণা চালিয়েছি এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আমাদের মশন নিধন কর্মীদেরও বলে দিয়েছি ভালো করে মশার ওষুধ দিতে। কিন্তু আমরা যতো কিছুই করি মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে সমস্যার সমাধান হবেনা। সবাইকে খেয়ার রাখতে হবে যাতে বাড়িঘরের আশপাশে পানি জমে না থাকে। ড্রেনগুলো পরিষ্কর রাখতে হবে। মানুষ সচেতন হলে এই সমস্যা বড় আকার ধারণ করার আগেই প্রতিরোধ করা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :