News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দিগুবাবুর বাজারে দাম কমছে মাছ ও সবজির


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ করেসপনডেন্ট প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৪, ১১:০০ পিএম দিগুবাবুর বাজারে দাম কমছে মাছ ও সবজির

নারায়ণগঞ্জ নগরীর দিগুবাবুর বাজারে মাছ, মাংস ও শাক-সবজির দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে তবে ক্রেতারা এতে সন্তুষ্ট নন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, স্থানীয় প্রশাসন ঠিকমতো কাজ করেনা। তাদের সাথে বাজারের ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক থাকায় বাজার মনিটরিং হয়না বলে মন্তব্য করেন কয়েকজন ক্রেতা।

১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, লাল শাক ৩০ টা, লাউ শাক ৪০ টাকা, কফি ৪০ টাকা (পিস), সিম ৯০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, মরিচ ১০০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতা আনোয়ার মিয়া বলেন, দাম কমেছে আরো কমবে। শীত যতো বাড়বে মাল তত বেশি করে আসবে। সরবরাহ বাড়লে আরো দাম কমতে পারে। এখন বাজার আগের তুলনায় ভালো।

মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাঙ্গাস ২০০ টাকা, রুই ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ইলিশ মাছ ছোট ৫০০ টাকা কেজি, মাঝারি ৮০০ টাকা কেজি এবং বড় আকৃতিরগুলো ১৮০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। বাজারে ব্রয়লার ১৯০, কক ৩২০, খাসি ১১০০ ও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি।

মাছ বিক্রেতা শফিউল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ মাছের দাম কমে গেছে। দামি মাছের দাম তো কেজিতে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকাই কমছে। আর কত কমবে? ইলিশের দামও কমে গেছে। তবে বাজারে আসা মানুষের কাছে টাকা নেই। তাই আমাদের বেচাকেনা ভালোনা।

আলী হোসেন নামে বাজারে আসা নগরীর আমলাপাড়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, দাম কমেছে বললেই হলো নাকি? দম ঠিকই কম কিন্তু এই বাজারের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বড়। ওরা প্রশাসনের সাথে হাত রাখে। তাই দেখবেন প্রশাসন ঠিকমতো বাজার মনিটরিং করেনা। আর করলেও কয়েকজন সাংবাদিক ডেকে এনে লোক দেখানো কাজ করে বিদায়। আমরা দামের জন্য কিছু কিনতে পারছিনা। আর তারা এসি রুমে বসে বসে কি করছে আমাদের বুঝে আসেনা।

মাছ বাজারে আরো এক ক্রেতা বলেন, বাজারের বিক্রেতাদের মধ্যে সৎ ব্যবসায়ী খুব কম। ওরা একটু সুযোগ পেলেই বেশি দাম রেখে দিবে। আমি একবার সকালে বাজারে এসে দেখলাম পাঙ্গাস মাছ ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আমার কাছেও একই দাম চাইল। একটু পর মোবাইল কোর্ট আসলো আর দাম ১৮০ টাকা হয়ে গেলো। এই হলো বাজারের অবস্থা। সরকারি ভাবে যদি নিয়মিত নজরদারি করা হতো তাহলে গরীব মানুষ বাঁচত। কিন্তু যাদের দায়িত্ব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা তারাই তো কাজ করেনা।

Islams Group
Islam's Group