নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীদের সংগঠন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও হোসিয়ারির জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিজেদের বলয়ের সদস্যদের নিয়ে এজিএমের মাধ্যমে অস্থি’তিশীল পরিস্থিতি শান্ত পরিবেশে রূপ নিয়েছে। এখন ভোটের অপেক্ষায় দিন কাটছে প্রত্যাশিত প্রার্থী ও ভোটারদের।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কো-অপ্ট করে নতুন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এর এক মাসের মাথায় গত ২৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের এজিএম আয়োজন করা হয়। এক পক্ষকে দাওয়াত না দিয়ে এজিএম করায় আলোচনা সমালোচনা হয়। এতে ২৫ অক্টোবর একটি রেস্তোরাঁয় বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ সদস্যরা। এতেও পরদিন এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মাসুদুজ্জামান অভিযোগ করেছিলেন মোহাম্মদ আলী চেম্বার নিয়ে নোংরামি করেছেন। এ নিয়ে এবার মুখ খুললেন সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর কারণেই মাসুদুজ্জামান বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
‘আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের পেছনে পরিষ্কারভাবে তার ইন্ধন রয়েছে’ মাসুদুজ্জামানের এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মোহাম্মদ আলী বলেন, এটা যদি কেউ বলে থাকে তাহলে ভুল বলেছে। মাসুদ হচ্ছেন আমার নিজের লোক। আমার ভাতিজা। আমি চাই সে সভাপতি থাকুক। তাকে তো সভাপতি আমিই বানাইলাম। মোহাম্মদ আলীকে ইঙ্গি করে মাসুদ মন্তব্য করেছিলেন ‘উনি কি কাউকে সভাপতি বানানোর কোনো ক্ষমতা রাখেন নাকি’ প্রসঙ্গে বলেন, সে যদি এটা বলেও থাকে তাহলে সে ভুল বলেছে। আমি আমার কাজ করে দিয়েছি। আমি সভাপতি হতে চাইলেই তো আমি সভাপতি হতে পারবো না। মানুষ চাইলে আমি সভাপতি হতে পারবো। তা না হলে আমি যাবো কেনো ওইখানে?
এদিকে বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনেও সভাপতি ও সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন আরেক সহ-সভাপতি সাঈদ আহম্মেদ স্বপন। গত ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা করেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সভাপতি নাজমুল আলম সজল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি কবির হোসেন আত্মগোপনে রয়েছেন। ভোটের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের প্রত্যাশা করেছেন সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান বদু। ইতোমধ্যে হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে নিয়ে বিএনপি দুই গ্রুপ সক্রিয় হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রকাশ্যে হয়েছেন, বিগত ১৬ বছরের বিএনপির নিষ্ক্রিয় নেতা বদিউজ্জামান বদু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সন্ত্রাসী জাকির খানের চাচা মনির হোসেন খান, মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক সবুর খান সেন্টু ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আমিনুর ইসলাম মিঠু। এদের মধ্যে বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হওয়ার জন্য তোড়জোড় করে যাচ্ছেন বদিউজ্জামান বদু। তিনি এজিএমের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, আমারে ভোট দিলে আমার পুরো প্যানেলকে ভোট দিতে হবে। আপনারা আমার প্যানেলে ১২টা, আর হেগো প্যানেলে ৪টা ভোট দিবেন। এই জিনিসটা কইরেন না। আমারে যদি চান তাহলে পুরো প্যানেলে ভোট দিতে হইব। আমারে অর্ধেক দিবেন আর আরেকজনের চেহারা দেইখ্যা দিবেন, তাহলে তো আমার কাজের ব্যাঘাত ঘটবে।
আপনার মতামত লিখুন :