নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী নিউ মডেল হাই স্কুলের ১৯৯৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এসএসসি ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করতে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি সব ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন একসঙ্গে স্কুলের অডিটোরিয়ামে এই সভার আয়োজন করেন। ২০০৫ ব্যাচের খন্দকার তারিফ হোসেনের সঞ্চালনায় কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ২০০৪ ব্যাচের সুজন ভূঁইয়া।
এসময় ১৯৯৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতি ব্যাচ থেকে প্রতিনিধিরা স্কুলের শিক্ষার মান ও পরিবেশ উন্নয়নে কি কি কাজ যায়, সে বিষয়ে নিজেদের পরামর্শ ও মতামত তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তারা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
স্কুলের প্রথম ব্যাচ ১৯৯৭ থেকে বক্তব্য রাখেন বারেক ও মানিক। এছাড়া ১৯৯৮ ব্যাচ থেকে আজিজুর ও রাসেল, ১৯৯৯ থেকে মনজুর, জাহাঙ্গীর ও সোহান; ২০০০ ব্যাচ থেকে নয়ন ও আবু তাহের; ২০০১ ব্যাচ থেকে সম্রাট, ২০০২ ব্যাচ থেকে মহিবুর এবং ২০০৩ ব্যাচ থেকে নাদিম। একইসঙ্গে এসএসসি ব্যাচ ২০০৪ থেকে ২০২৪ এর অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী বক্তব্য রাখেন।
ঐক্যের আয়োজক ছিলেন সুজন ভূঁইয়া (২০০৪), খন্দকার তারিফ হোসেন (২০০৫), রিয়াজুল ইসলাম রাজু (২০০৬), সৈকত প্রধান আসিফ (২০১০), আরিফ মোল্লা (২০১১) ও ফারদিন ভূঁইয়া (২০২০)।
উল্লেখ্য, রূপসী নিউ মডেল হাই স্কুল ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যার বর্তমান নাম রূপসী নিউ মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে প্রথম দশকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় তালিকার প্রথম সারিতে অবস্থান করতে শুরু করে। ফলে এর সুনাম পুরো নারায়ণগঞ্জজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বিগত ১৫ বছর ধরে স্কুলের শিক্ষার মান এর অবনতি ঘটেছে। স্কুলে দলীয় ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা থাকায় শিক্ষার মানের দিকে স্কুল কমিটির নজর কম ছিল। এর ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ সংস্কারের যেই হাওয়া বইছে। তাকে কেন্দ্র করে রূপসী নিউ মডেল স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে স্কুলের শিক্ষার মান ও পরিবেশ সংস্কারে শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করতে চায়। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানিতে ও প্রশাসনে উচ্চ পদে কর্মরত আছেন। আবার অনেকেই উদ্যোক্তা হয়ে ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন। সিনিয়র প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই জুনিয়র শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চান। শিক্ষার্থীরা যেন মাদকাসক্ত না হয় এবং কীভাবে সমাজকে মাদকমুক্ত রাখা যায়, তা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। দীর্ঘ মতবিনিময় শেষে সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :