বন্দরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সিকদার আব্দুল মালেক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. নুরুন্নবী।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় এ লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক ও সাংবাদিকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। মতবিনিময়কালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ছাত্র-শিক্ষক এবং অভিভাবকসহ স্থানীয়দের বক্তব্য শুনে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এডিসি মো. নূরুন্নবী বলেন, বাবা-মায়ের পরেই শিক্ষকদের স্থান। শিক্ষকদেরকে যারা অসম্মান করে তাদের পড়া-লেখা হয় না। কারণ শিক্ষকদের অভিশাপ দিতে হয় না লেগে যায়। চলমান প্রেক্ষাপটের নিমিত্তে দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন অহরহ ঘটনা ঘটেছে শিক্ষকদেরকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। যে সকল জায়গায় শিক্ষকদেরকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে সেখানে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে পূর্বের কর্মস্থলে পুনর্বহাল করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শিক্ষকদেরকে জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হেনস্তার বিষয়টি মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার গোচরে এসেছে। নতুন করে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সমস্ত কাজ বন্ধের আহবান করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তোমরা ছাত্র তোমাদের কাজ শুধু পড়া-লেখা করা। তোমাদের বাবা-মা অনেক আশা নিয়ে স্কুলে পাঠায়। কিন্তু তোমরা সেটা না করে তাদের অবাধ্য হচ্ছো। সেটা ঠিক না। এখন থেকে আমি যেন আর না শুনি এই স্কুলে কোন আন্দোলন হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগপত্র আমরা পেয়েছি কিন্তু পদত্যাগপত্রটি কার্যকর হয়নি। এ বিষয়ে এডহক কমিটির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নিয়ম মোতাবেক সমাধান করা হবে। ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক এবং এলাকাবাসী যেটা ভালো মনে করবে সেভাবেই হবে।
বিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য হাজী পিয়ার জাহান কমল, সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ সেন্টু, মো. সালাউদ্দিন, মো. নূর হোসেন, বুলবুল আহমেদসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিতু সিকদার, আজীবন সদস্য ফারজানা সিকদার, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নজরুল সিকদার, শিক্ষানুরাগী মো. আফতাবউদ্দিন, সুমন সরকার, সাংবাদিক মঞ্জুর আহমেদ মুন্না, ইকবাল হোসেন, মেহেদি হাসান রিপনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :